পার্থজিৎ চন্দ
শান্ত চায়ের দোকানে শান্ত কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে
বুদ্ধের মহানিষ্ক্রমণ নিয়ে কথা উঠে এল। উঠে এল
অজন্তা অপরূপা’র কথা… যামিনী প্রখর, বিলাস-ব্যসন শেষে সুপ্ত জনপদ
স্ত্রী-পুত্রের মুখ ধকধক করে কেঁপে উঠছে নীলাভ তারার নীচে
দরজা খোলার পর একবার স্ত্রী ও একবার পুত্রের দিকে তাকালেন তিনি
এ-শরীর যেন এক বীণা। তিনি
একে একে বীণার তারগুলি ছিন্ন করছেন
গ্রন্থীমোচনের পর এক অপার্থিব সুর ছড়িয়ে পড়ছে
চরাচর-জোড়া শায়িত বীণায়
অজন্তার সেই বিখ্যার গুহাচিত্রগুলি আমার অদেখা
শুধু রাতের দরজা খুলে দেখেছি নিকষ অন্ধকারে
রতিসুখ শেষে এক আহত বিছানা
ভোররাতে ছিন্ন বীণাটির গায়ে ঝরে পড়ছে
এক উন্মাদিনীর লহু-ময় কালচে অশ্রু
মনখারাপ করে দিলেন কবি..