সজ্জ্বল দত্ত
( উৎসর্গ : ‘ মানবী ‘ )
এও নাকি পাল্টানো যায়
সেই কবে কোনকালে সাঁতরে মায়ের পেটে পুরুষের ডিগবাজি উড়িয়ে বসিয়ে দেবে লজ্জা ।
মুকুল আমার নাম; বয়স মন্দ নয়
কাগজে খবর পড়ে একলা আপনমনে ছাদে শুয়ে ….
শুনশান চারপাশ ভেতর ঝাপসা কালো
ঘুটঘুটে রাত্রি নিঝুম ।
ধারালো বিরাট দাঁত করাতের মতো কী ক্রমশঃ
নীচের দিকে
ছিঁড়েখুঁড়ে ফালাফালা টুকরো আকাশ মেঘ
হলকা আগুন আঁচ নাক দিয়ে মুখ দিয়ে
মাথা বুক পুড়ে ছাই
চক্ষু বিস্ফারিত ….
তারপর বৃষ্টি …. হাড়মাস মজ্জায় তিনকাল কেঁপে ওঠে
মরাপশু মরাপাখি …. পতনে কোকিল আগে
চামড়া ছাড়ানো যেন চাটুর ওপর ফেলে সেঁকা ।
আরো…আরো…সাদা বক দোয়েল মুনিয়া টিয়া
পৃথিবীর সব ঘুঘু কোথা থেকে উড়ে এসে লুটিয়ে শরীর পোড়া ছাদের ওপর ।
# # #
ছবিটা প্রবলভাবে দুলতে দুলতে শেষে মাটিতে আছড়ে পড়ে সোজা ।
আলোয় কালোয় স্পষ্ট কাগজের পাতার হরফ ।
ঝনঝন দমাদম কাঁসর ঘন্টা ঢাক শিরায় শিরায় কোষে সাপের ঠান্ডা গায়ে আগুনের আঁচ ।
মুকুল মিত্র আমি, বয়স চল্লিশ, ব্যাচেলার,স্বেচ্ছায় মুকুলিকা হবো ।
স্থির শব্দ নেই গভীর নিশুতি রাত
গরম আরামটুকু প্রাণভরে লুটেপুটে
মুকুল মিত্র আমি, চল্লিশ, ব্যাচেলার
পাগল প্রলাপ যত এ ভাষায় এলোমেলো ছাদে শুয়ে সারারাত ।
মুঠোয় পুরুষ ধরা কোথায় সাপের ফণা ?
দুচোখ দুদিকে খোলা ছুটছে লক্ষ্যভেদ ।
বাঁচোখ ওপরে সোজা অনন্ত তারার রাজ্যে
ডান চোখে নিজেরই মাথা থেকে পা ।
শ্রদ্ধা 🙏