বেবী সাউ
এই যে সুসময়, অথবা কদাকার তাহাকে তুমি ডাকো শ্রী নন্দিনী!
আঁচল ভরা ফুলে, মাথায় চুড়োখোঁপা তুমি কি তাহাকেও ডুবাবে প্রেমে?
এ পথে বালুকণা, এ পথ নির্মম হেঁটেছে যারা, তারা তো ভিক্ষুক…
সাধন ছড়াবে না? এ মরু প্রান্তরে? কেহ কি বাজাবে না জিভের বাঁশি!
নিভেছে সাঁঝ আলো, অকালে ঝড় জল, হাতের কাছে নেই ধারালো কিছু
এ হেন রাত-বেলা, বেরিয়ে পড়ে যদি, দংশনের ক্ষত, শঙখচূড়!
কে যেন ভয়ানক! ভীষণ সন্তাপে আগুন জ্বেলেছিল প্রাচীরময়!
পুড়লো ভাটিগান, নদীর উপকথা। বদলা মৃত্যুর ‘মৃত্যু চাই’…
কঁকিয়ে উঠেছিল গোপন সুড়ঙ্গ চিহ্ন মুক্তির অভিজ্ঞান
এ দুষ্মন্ত যে, দুর্যোধন মুখ অথবা তাহাদের আধার নেই
কে যেন পরিচয়! যেন কে আশ্বাস, ছড়ায় চারপাশে আউশ খই
তুমিও দয়াময় তুমিই নিষ্ঠুর বস্ত্রহরণের সাবেক কাল…
এই যে সুসময় অথবা কদাকার তাহাকে তুমি ডাকো শ্রী নন্দিনী?
রক্তে ভেজা মুখ, কণ্ঠে নালি কাটা বিঁধেছে বুকময় নখের দাগ
কাজল এলোমেলো, যোনীও ক্ষতময়; জরায়ু দেবে তাকে মাতৃ-স্বাদ?
অলীক সব রাত, সবই যে মায়াময়, কাহাকে দোষ দেবে সান্ধ্য কাল!
অন্ধকার সব, অন্ধকার শব… আধার ঘনায়েছে যমুনা পারে…
বাঁশীটি প্রতিবেশী, তুমিও ছলময়, তাহাকে নাম দেবে অহল্যার!
পুড়েছে দেহ আর আঁচলে ঢেউ ওড়ে নিজেই কাণ্ডারী বইবে নাও…
যে ছিল লাঙলের, বিরহী কাতরা সে, রাধিকা নামে মেয়ে বাঁশিটি খোলে…
নিজেই লিখে ফেলে নিজের কথকতা মৃত এ শহরের ঘাতক কথা
ঠোঁটে সে গান লেখে হৃদয়ে বহমান আগুন জ্বালানোর যে স্বরলিপি
এই যে সুসময় এই যে সুসময় নিজেই নাম রাখে শ্রী নন্দিনী…
খুব ভালো !
নন্দিনী স্বয়ংসিদ্ধা হোক 🙏