অভীক ভট্টাচার্য
রেলসাইডিংয়ের পাশের শুঁড়িখানা থেকে
পাক খেয়ে উঠে আসছে একটা বেগুনি রঙের হাওয়া,
তুমি তোমার চারতলার বারান্দা থেকে দেখতে পাও
দ্যাখো সুইনহো লেনের মর্মান্তিক আকাশে
হেলে থাকা অক্ষরেখার চারপাশে শতাব্দী ঘুরপাক খাচ্ছে
এই নিদারুণ চৈত্রের দুপুরে,
অথচ রাস্তায় কোনও আইসক্রিমের দোকান খোলা নেই
দ্যাখো দাঁতের ডাক্তারের বিষণ্ণ চেম্বারে
নাম লিখিয়ে বসে আছে তোমার ছেলেবেলা
তার চুলে খেলে বেড়াচ্ছে বসন্তকাল,
দ্যাখো হোলির দিনে ফাগুয়ার রঙে লাল হয়ে উঠছে
তোমার পকেটের দু’পাশের সাদা,
ব্রহ্মাণ্ড পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে রঙে…
তোমার স্যান্ডেলে, পাৎলুনে লেগে থাকছে অপার্থিব ম্যাজেন্টা আভা
যা আসলে নিয়তিতাড়িত
যেহেতু তোমার কোনও কাজ নেই, তাই
এমন বর্ণময় দুপুরে তুমি দু’হাত শরীরের দু’পাশে ছড়িয়ে
অল্প হেসে রেলিঙের ওপর উঠে দাঁড়াও,
নীচে বিছিয়ে থাকা বালিগঞ্জের একটেরে বস্তি পার হয়ে
ধীরে, অমরতার দিকে উড়ে যেতে থাকো
হাওয়ার ভেতর থেকে আরও আরও হাওয়া উঠে আসে