সুজিত দাস
কেউ ভাল নেই।
কেউ কখনও ভাল ছিল না।
সার্কিট হাউস থেকে পর্ণকুটির,
কোঠাবাড়ি থেকে নিকনো উঠোন, কেউ কোনোদিন ভাল ছিল না।
ভাল থাকাটাও একধরণের অসুখ। কপালে কাটা দাগ, রুমালে লেগে থাকা সুগন্ধি ঘ্রাণ।
এবং পুরনো স্মৃতির কোলাজ যেমন হয়…
কেউ সঙ্গমে পারদর্শী নয়।
বিছানা এক আধখাওয়া আপেল। নিপলের চারদিকে ফুটে থাকা অসতর্ক রোম, ঊরুসন্ধির দ্বৈপায়ন হ্রদে তরঙ্গমুখর ঢেউ। নতুন লঁজেরি, স্কিন কালারের এক বিরাট কুহেলি-কা।
যে কোনও জয় রাইড শেষ হলে প্রেমিক বড় একা।
শুনেছি প্রেমিকাদের গ্রাফ ধীরে নামে। কতটা ধীরে নামলে স্থির হয় প্রপাতের শব্দমালা?কাঁপতে থাকা বাঁশপাতার মত একটি শরীর, স্যুইং করা একটি হার্ড ডিউজ কখন থির বিজুরির মত বেডকভার টেনে নেয়?
ছেড়ে যাওয়া মেয়েদের জন্য ‘হাড়ের মালা’ নেই, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার নেই। গোঁসাই এখন শীতে কাতর। নিকানোর পাররার পেপারব্যাক এডিশনেও অনেক মুদ্রণপ্রমাদ। ছেড়েছ, ভাল করেছ। কবি ও ক্যাপস্যুল এক্সপায়ারি ডেট নিয়ে জন্মায়। কেউ তোমার মতো অপরাজিতা নয়।
মোটমাট, গয়েরকাটা থেকে বানারহাট মোড়ের স্ট্রিপটুকু বাদ দিলে কেউ ভাল নেই। হার্ট ইজ জাস্ট আ মাসল। তবু বনগোলাপের কাঁটা ওখানেই ফোটে। নিদাঘ দুপুরে ফোর-ও-ক্লক বৃষ্টিও ঠিক ওভাবেই আসে।
নাথিং ডুইং।
কেউ সঙ্গমে পারদর্শী নয়।
অরগ্যাজম একটা অ্যাকসিডেন্ট।
ভালো থাকা ডাক নাম অসুখের / মুক্তোতে প্রাণ নেই ঝিনুকের
দুর্দান্ত লিখেছেন সুজিতবাবু !